
প্রাচীন সপ্তাশ্চার্যের একটি হল মিশরের পিরামিড। মিশরের ফারাও রাজাদের দ্বারা কয়েক হাজার বছর ধরে এই পিরামিডসমুহ তৈরী করা হয়। পিরামিডের সংখ্যার বিষয়ে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যে জরিপ হয়েছে, তাতে মোট পিরামিড সংখ্যা ১৩৫টি। সবগুলোই প্রায় রাজধানী কায়রোর আশেপাশে।
পিরামিড তৈরীতে ব্যবহৃত হয় বিশালাকার পাথর, যার ওজন আড়াই টন থেকে শুরু করে ৬০ টন পর্যন্ত। দূরদূরান্ত থেকে এসব পাথর এনে, সঠিক মাপে কেটে, একটির উপর আরেকটি রেখে পিরামিড তৈরী করা যেন তেন কথা নয়। এ বিষয়ে রয়েছে নানান মতভেদ। কোন প্রকার যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহার না করেই, কিভাবে তারা এত ভারী পাথর, এত উচুতে উঠালো তা বর্তমান বিজ্ঞানের কাছেও অপার বিষ্ময়। তবে প্রাচীন মিশরীয়রা বিভিন্ন সমাধিক্ষেত্রে ছবি এঁকে রেখেছিল। তেমনি একটি ছবিতে দেখা যায় এর প্রস্তুত প্রণালী। শত শত মানুষ মিলে একটি বড় পাথরকে স্লেজে করে সরাচ্ছে। সামনে একজন বালির উপর পানি দিচ্ছে, এতে ঘর্ষন কমে গিয়ে পিছল হয়, তাই কম শক্তিতে বেশি কাজ করা সম্ভব হয়। অনেকে আবার মনে করেন এটা করেছে ভিন গ্রহের প্রাণীরা।
সবচেয়ে বড় এবং মনোমুগ্ধকর পিরামিডের নাম খুফুর পিরামিড, যা তৈরী করতে প্রায় বিশ বছর সময় লেগেছিল। খ্রিস্টের জন্মের ৫০০০ বছর পূর্বে আনুমানিক ১ লক্ষ শ্রমিক ২০ বছরে এটি তৈরী করেন।